পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চরমার্গারেট গ্রামে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ একই এলাকার মজিবর শরীফের ছেলে শাকিল (২২) ও আল হাদিবকে (১৮) আটক করেছে। গৃহবধূর স্বামী জানান, ‘আমার স্ত্রীকে শাকিল, আরিফ ও হাদিব মিলে ঘরের ভিতর বেঁধে রেখে ধর্ষণ ও মারধর করেছে। রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসার পর ভোর রাতে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি।’ তিনি আরও জানান, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে তিনি কাশেম মোল্লার স্লুইস গেট বাজার থেকে রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তার মোবাইলে বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কাছে বিষয়টি সন্দেহের হলে তিনি দ্রুত বাড়িতে ছুটে যান।

 গিয়ে ছেলেমেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ঘরে ঢোকেন। তখন বাতি বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় টর্চলাইট জ্বেলে স্ত্রীকে টেবিলের সঙ্গে হাত বাঁধা, নাক-মুখ ও চোখ ওড়না দিয়ে বাঁধা দেখেন। তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ষকরা ঘর থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।

দিনাজপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত : দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিরামপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা গতকাল বিরামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- বিরামপুর পৌর এলাকার মাহমুদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাহিদ ইসলাম (২০) এবং একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে সুমন আহমেদ এস্তামুল (২৪)।

বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিরামপুর পৌর শহরের স্থানীয় ওই দুই যুবক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাহিদ ও তার বন্ধু সুমন ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের কলাবাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।