সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আর্থিক সংকটে চসিক, বাড়ছে ভোগান্তি

৩৩ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা ১০১ কোটি টাকা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আর্থিক সংকটে চসিক, বাড়ছে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ৩৩ মন্ত্রণালয়ের কাছে পৌরকর বাবদ ১০০ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা বকেয়া পাওনা আছে। দীর্ঘদিন ধরে কর পরিশোধ না করায় দিন দিন বকেয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। চসিকের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস পৌরকর। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর বকেয়া থাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবামূলক কাজে আর্থিক সংকট প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে নাগরিক ভোগান্তি। চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মোট হোল্ডিং সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি। এর মধ্যে ৩৩ মন্ত্রণালয়ের হোল্ডিং সংখ্যা ১ হাজার ৫১৬টি। এসব মন্ত্রণালয়ের কাছে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত মোট পাওনা ১০০ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা। চসিকের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়সমূহের পৌরকর বাবদ বকেয়াগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী হয়ে আছে। তবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘সরকার টু সরকার’ বিষয়ক কিছু বিষয় আছে। বাকিগুলোর ব্যাপারে কর আদায়ে ইতিমধ্যে আমরা চিঠি দিয়েছি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে।’  জানা যায়, চসিকের কর বকেয়া থাকা মন্ত্রণালগুলোর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালরে কাছে পাওনা ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩২ টাকা এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার ২৯ টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কাছে ২ কোটি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৮ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কাছে ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬ টাকা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৪২, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৮ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৩২ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৫ টাকা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১৫ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫৪ টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ১২৯ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৩৩ টাকা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪ টাকা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৪২ টাকা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্বন মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৬৯ টাকা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৯ লাখ ৫ হাজার ১৯৪ টাকা।

 তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৪ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৪ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৯ টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩০ টাকা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৬ টাকা।

 মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬০ টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮৯ টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৭২০ টাকা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৫ টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে ৭ লাখ ২০ হাজার ২৯০ টাকা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪০ টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৬২০ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর