বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাথায় হাত রাজশাহীর কৃষকদের

আবাদে ক্ষতি ৫০ কোটি, প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারেও

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে চলতি মৌসুমে আবাদ করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রাজশাহীর চাষিরা। করোনার মধ্যে আশা নিয়ে আবাদে নামলেও প্রতিকূল আবহাওয়া কৃষককে হতাশ করছে। এ কারণে যেমন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারে। করোনাকালীন অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে রাজশাহীর কৃষি আবাদে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। শুধু গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্যা ও জলাবদ্ধতায় রাজশাহীর তানোর, মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার ৬ হাজার ২১৬ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৫০৩ দশমিক ৫ হেক্টর জমি যা রাজশাহীর মোট ফসলি জমির দশমিক ৬০ শতাংশের আবাদ নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এই তিন উপজেলায় ৭৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছিল। ২০ দিনে আবাদ করা জমির মধ্যে আগের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত জমিসহ ৪৭৩ দশমিক ৫ হেক্টর আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। এতে মোট উৎপাদন থেকে ১ হাজার ৪৯৬ দশমিক ২৬ মেট্রিক টন উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলাগুলোতে ২ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ করা হয়েছিল। আবাদ করা জমির ৫ হেক্টর জমির সবজি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া পানবরজেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসাইন জানান, করোনাকালীন অতিবৃষ্টি বা বন্যার প্রভাবে রাজশাহীর কৃষিতে যে ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাব স্থানীয় বাজারে দেখা যাচ্ছে। রাজশাহীর জমিতে এত সবজি উৎপাদন হওয়ার পরেও এখানে সবজির চড়া দাম।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, ‘এ মৌসুমে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে রাজশাহীর কৃষিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

 অতিবৃষ্টির কারণে ফলনও কমেছে। প্রকৃতি সব সময়ই আমাদের একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখে। প্রকৃতির ঝুঁকিকে আমরা ইচ্ছে করলেই এড়াতে পারি না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর