খুলনায় গ্রেফতার পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ১৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। খানজাহান আলী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার ১৪ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার খুলনা-যশোর মহাসড়কে ইস্টার্ন গেট এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি থেকে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদাসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুদরত-ই খুদাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আটক বাসদ নেতা জনার্দন দত্ত নান্টু, শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হোসেন, অলিয়ার রহমান, সিপিবি নেতা এস এ রশীদ, মিজানুর রহমান বাবুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। জানা যায়, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও আধুনিকায়নসহ ১৬ দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমর্থনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সোমবার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।

 থানা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই খুদা বলেন, দাবি আদায়ে ইস্টার্ন মিল গেটে শান্তিপূর্ণ অবরোধে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে ১৫ মিনিটের জন্য কর্মসূচি পালন করতে দিতে অনুরোধ জানানো হলেও তা শোনেনি। বরং ওই স্থান থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইটপাটকলে নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত উপপুলিশ সুপার কানাইলাল সরকার জানান, সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের অবরোধ কর্মসূচির সময় যাত্রীবাহী বাসে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকরা বিভিন্ন দিক হতে খুলনা-যশোর মহাসড়কে চলমান যানবাহন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও রেললাইনের পাথর মারতে থাকে। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাত রাউন্ড টিয়ার শেল এবং দুই রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।