বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনায় জনজীবনসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব কার্যক্রম যখন স্থবির তখন শিল্পানুরাগীদের মনের খোরাক জোগাতে অনলাইন প্ল্যাটফরমে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। লকডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনটি তাদের নিয়মিত ভার্চুয়াল আয়োজন অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ বিশেষ দিবস উদ্যাপন ছাড়াও প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের জন্মদিন উদ্যাপন ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে এ সাংস্কৃতিক সংগঠনটি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে লালন, হাছন, রাধারমণ, শাহ আবদুল করিম স্মরণেও সংগীতানুরাগীদের বঞ্চিত করেনি সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল পঞ্চকবির অন্যতম প্রধান গীত রচয়িতা অতুলপ্রসাদ সেনের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে তারা। ফেসবুক লাইভে গান আর আড্ডায় অতুলপ্রসাদ স্মরণের এ ডিজিটাল আসরকে বর্ণাঢ্য করে তোলেন শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ আয়োজন ছিল সংগঠনটির নিয়মিত ভার্চুয়াল আয়োজনের ৩৫তম পর্ব।
শিল্পী সুজিত মোস্তফার সঞ্চালনায় ডিজিটাল সুরের এ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মামুন জাহিদ খান, পূজন কুমার দাস ও সোমা দাস। প্রত্যেকে চারটি করে ১২টি গান পরিবেশন করেন।
আসরে মামুন জাহিদ খান পরিবেশন করেন- নীচুর কাছে নীচু হতে, তুমি কবে আসিবে মোর, বধূ এমন বাদলে তুমি কোথা ও আমি বাঁধিনু তোমার তীরে। সোমা দাসের কণ্ঠে গীত হয়- সে ডাকে আমারে, একা মোর গানের তরী, বধুয়া নিদ নাহি আঁখি পাতে ও যদি তোর হৃদ যমুনা। আসরে সর্বশেষ পরিবেশনায় পূজন কুমার দাস গেয়ে শোনান- কে আবার বাজায় বাঁশি, ওগো নিঠুর দরদি, যাব না যাব না ঘরে এবং মোদের গরব মোদের আশা। বাণীর ভিন্নতা ও সুরের বৈচিত্র্যে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ফেসবুক লাইভটি রঙিন ও সুরেলা হয়ে ওঠে। ডিজিটাল সুরের বৃষ্টিতে ভিজে হেমন্তের সন্ধ্যায় হারানো দিনে ফিরে যান সংগীতানুরাগীরা।