বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

জনঘনত্ব বিবেচনায় উন্নয়নের তাগিদ

বিআইপির সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বিবেচনায় না নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের কারণে প্রায় সব মানদ-ে ঢাকার অবস্থান নিচের দিকে থাকে বলে মনে করে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। জনঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে শহরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ঠিক করার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল ‘ঢাকা শহরের জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিআইপির প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তাগিদ দিয়েছে বিআইপি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি বড় শহরের জনঘনত্বের জন্য মানদ- ধরা হয় প্রতি একরে ৭০-৮০ জন। একরে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২০ পর্যন্ত হতে পারে শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায়। জাপানের টোকিও শহরের কেন্দ্রীয় এলাকার ওয়ার্ডগুলোয় জনঘনত্ব একরপ্রতি ৯০ জনের কম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সর্বোচ্চ জনঘনত্ব একরপ্রতি ৫৮ জন। বহুতল ভবনের জন্য প্রসিদ্ধ সিঙ্গাপুরেও একরপ্রতি ৮০ জনের কম মানুষ বাস করে। তবে সিঙ্গাপুর সিটিতে জনসংখ্যা একটু বেশি হলেও শহরটির শতকরা ৮০ ভাগ জমি সরকারের মালিকানাধীন এবং ৯০ ভাগ আবাসন সরকার দিয়ে থাকে। কিন্তু ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারের জনঘনত্ব প্রতি একরে ৬০০ থেকে ৭০০। এ জনঘনত্ব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে মনে করে বিআইপি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা শহরের অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধাদি পরিকল্পনার সব মানদ- ও সূচকে অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। সিঙ্গাপুর উচ্চবৃদ্ধির শহর, কিন্তু তার জনঘনত্ব অনেক কম। এমনকি নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের জনঘনত্ব ১১২ এবং অন্যান্য এলাকার ঘনত্ব প্রতি একরে ৬০ জনের কম। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তার মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালের মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা তৈরির মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি।

 তিনি আরও বলেন, জনঘনত্ব, শহরের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জনা সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এলাকাভিত্তিক জনঘনত্বের ম্যাপ তৈরি করা। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক সামাজিক ও নাগরিক সুবিধা এবং অবকাঠামাের তালিকা প্রস্তুত করা এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন অনুমোদন দেওয়া। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ নয়; বরং সামগ্রিক শহরের টেকসই উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর