রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্মবিরতি শেষে কর্ণফুলীর ঘাটগুলো ফের কর্মমুখর

খুশি নৌ যান শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চার দিন বন্ধ থাকার পর কর্ণফুলীর ঘাটগুলো ফের কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও টানা বৃষ্টির কারণে চার দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস ও কর্ণফুলী নদীর পাড়ে শ্রমিকদের কর্মতৎপরতায় উৎসবমুখর হয়ে উঠছে ঘাটগুলো। সকাল থেকে মাঝিরঘাট, সদরঘাট, আনুমাঝির ঘাট, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের ধুম পড়েছে। এতে সাধারণ নৌযান শ্রমিকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মূলত চার দিন পর কাজ পেয়ে শ্রমিকরা বেশ খুশি। এদিকে ঘাট গুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বলেন, নৌযান ও লাইটার শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তিন দিন এবং আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের কারণে এক দিনসহ মোট চার দিন লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটে কাজ চলছে। একই সময়ে বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানে থাকা মাদার ভ্যাসেল থেকেও কোনো পণ্য খালাস হয়নি। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া কিছুটা কেটে যাওয়ায় আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরুও করেছে ঘাটগুলো।

জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা গম, সার, ডাল, চিনি, সাদা মটর, পাথর, কয়লা, স্ল্যাগ, বল ক্লে, লাইম স্টোন, জিপসাম, সিমেন্ট ক্লিংকার ইত্যাদি খোলাপণ্য নিয়ে আসা বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে যাওয়া শুরু করে।  লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সাগর উত্তাল ও ভারি বর্ষণের কারণে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে যেতে পারেনি লাইটার জাহাজগুলো।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) সিরিয়াল নিয়ে রাখা বড় লাইটার জাহাজগুলো শনিবার সকাল থেকে রওনা হয়েছে। আশাকরি বিকাল থেকে লাইটারিং শুরু হবে। তিনি জানান, কর্মবিরতির আগে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল ৩৭টি জাহাজ। এখন আরও জাহাজ যোগ হয়ে অর্ধশতাধিক হয়েছে। সাগর উত্তাল হলে বিদেশি জাহাজের পাইলট, ক্যাপ্টেনরা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় লাইটারিংয়ের অনুমতি দেন না। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী আলম জানান, বেলা দেড়টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে নিয়েছে। লাইটার জাহাজ চলাচল ও নদীপথে পণ্য পরিবহন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হচ্ছে।

এতে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর