সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউর ৯৬ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও সংঘাত রোধে সাহায্যের জন্য ২০২০ সালে মোট ৯৬ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর জন্য সহায়তা উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা যৌথভাবে দাতা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। জাতিসংঘ সংস্থা, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বাধিক অভাবী ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য নতুন বরাদ্দ অর্থ খরচ করবে। ইইউর অনুদানের মাঝে শরণার্থী ও স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সাহায্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে থাকছে ৫১.৫ মিলিয়ন ইউরো।

 যার মধ্যে জরুরি সহায়তা রিজার্ভ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো নতুন বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে অগ্রাধিকারের খাতগুলো হলো সুরক্ষা (শিশু সুরক্ষা, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতাসহ), গুরুতর স্বাস্থ্যসেবা (মানসিক স্বাস্থ্যসহ) এবং পুষ্টি, খাদ্য সহায়তা ও সমন্বয়। উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রাখাইন রাজ্যে স্থানীয়ভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা জোরদারের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে। এটি মৌলিক সামাজিক পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার পাশাপাশি সুরক্ষা ও তথ্যগত সমস্যা সমাধান করবে। এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে সংঘাত রোধে সাহায্য হিসেবে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেওয়া হবে।

গাম্বিয়াকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে মিসরের প্রতি আহবান : ওআইসির নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা বিষয়ে গাম্বিয়াকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল মিসরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানানো হয়। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিসরের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে সেদেশের রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ ও মিসরের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং এক্ষেত্রে দুই দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. মোমেন। তিনি মিসরকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বাংলাদেশিদের মিসর কাজে লাগাতে পারবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে পেট্রো-কেমিক্যাল শিল্প স্থাপনের অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে মিসর আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানান। এ সময় মিসরের রাষ্ট্রদূত বলেন, সেদেশের আলেকজান্দ্রিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশের দুজন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন। মিসরের পিঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিন উল্লেখ করেন। এ সময় দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মিসর সফর করেছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মিসরে অনেক বাংলাদেশি ছাত্রের লেখাপড়ার সুযোগ আছে। ঢাকায় আগামী ডি-৮ সম্মেলনে মিসরের রাষ্ট্রপতি অংশগ্রহণ করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর