মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা ভাইরাস

দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা

করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর (এপ্রিল-মে-জুন মাসে) চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে অকল্পনীয় দুর্বিষহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সরকারি  হাসপাতালে শয্যা সংকট, বেসরকারি হাসপাতালের দরজা বন্ধ,  আইসিইউতে শয্যা না থাকা, সাধারণ শয্যায় অক্সিজেন সংকট ও রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্স মিলেনি। এমন অচিন্তনীয় পরিবেশে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের  সামনে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সামনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। করোনার এ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম কতটুকু প্রস্তুত, সে প্রশ্নই সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে- চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র যথেষ্ট কিনা, রোগীর প্রয়োজনে এসব সেবা কেন্দ্র পাওয়া যাবে কিনা, প্রয়োজনীয় আইসিইউ শয্যা বা অক্সিজেন পাওয়া যাবে কিনা। ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ, করোনাকালের প্রধান দুই সমস্যা ছিল- সরকারি সেবাকেন্দ্রে সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা সংকট। আর বেসরকারি হাসপাতালের দরজা বন্ধ থাকা। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও কি আগের দুর্বিষহ ঘটনার  পুনরাবৃত্তি হবে কিনা- সে সংশয় সবাইকে তাড়া করছে। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল সেবা দিলেও তাদের আকাশচুম্বী চিকিৎসা ব্যয় কত শতাংশ রোগী বহন করতে পারবে, সে শঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের করোনা প্রতিরোধ কমিটি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেবার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 তবে সেবার বিষয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরও কিছু সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা নেবে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি ১৮টি হাসপাতালে (১৪ উপজেলাসহ) তিন হাজার ২২৯টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্তদের জন্য আছে ৯৫০টি শয্যা। এ ছাড়া সরকারি চিকিৎসক ৭০৭ জন, নার্স ১ হাজার ৬৫৮ জন ও পিপিই মজুদ ১১ হাজার ৪৭৭টি। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে প্রস্তুত আছে ২১টি সেবাকেন্দ্রে ১ হাজার ২৩৬টি শয্যা। এর মধ্যে করোনা আক্রান্তদের জন্য আছে ৬৫০টি। চিকিৎসক ৩৯৪ ও নার্স রয়েছে ৮৭৭ জন। রবিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৫ হাজার ১৮৩ ও ১৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৫৮১ জন। ইতিমধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৩০১ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২০৮ এবং ১৫ উপজেলায় ৯৩ জন। রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯২ জন।

 

সর্বশেষ খবর