বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিরাজনীতিকরণের পথে হাঁটছে সরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিরাজনীতিকরণের পথে হাঁটছে সরকার : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দমনের মাধ্যমে ১/১১-এর বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে এ সরকার। এটি সুষ্ঠু রাজনীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিমুখী ও ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ করছে। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। বিএনপি মহাসচিব তার বিবৃতিতে বলেন, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার অনৈতিক সরকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মামলা দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মামলাগুলো প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তি করে ফেলে।

 কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো সচল রেখে ফরমায়েশি রায় প্রদানের মাধ্যমে সরকার ১/১১-এর বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার অনৈতিক সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। সে সময় অন্যায়ভাবে তাদের আটকও করা হয়।

মামলা চলাকালে তাদের আইনজীবীরা আইনগতভাবে মামলা মোকাবিলা করলেও কোনো বক্তব্য আমলে না নিয়ে সরকারি নীলনকশা অনুযায়ী একতরফা রায় ঘোষণা করা হয়। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মীর নাছির ও মীর হেলালের আপিলের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, এটা ১/১১-এর জরুরি অবস্থার অনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।

অন্য এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়’-এর নাম পরিবর্তনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ২০০৬ সালে ঢাকার তৎকালীন মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ডিসিসির উদ্যোগে পুরান ঢাকার মালিটোলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর