রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলছে চিড়িয়াখানাসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে থাকবে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বিভিন্ন শর্তে প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আজ খুলছে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে উদ্যানগুলো। চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানায় ঢোকার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ফটকে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে আগত দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন, সাবান এবং দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পাশাপাশি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর খাঁচার চারপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

বাগেরহাট : খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ বনবিভাগের সব জাতীয় উদ্যান। ইকো ট্যুরিজমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে এসব ট্যুরিস্ট স্পট। সুন্দরবনসহ এসব ট্যুরিস্ট স্পটে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বনবিভাগের নির্ধারিত ফি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বনবিভাগ জানায়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৯ মার্চ বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ বনবিভাগের সব জাতীয় উদ্যান প্রতিবেশ পর্যটন বা ইকো ট্যুরিজমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বন মন্ত্রণালয়। গত ২৭ অক্টোবর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে সুন্দরবনে ট্যুর অপারেটর তাদের লঞ্চে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০ জনের বেশি পর্যটক বহন করতে পারবেন না। একসঙ্গে সুন্দরবনে নামতে পারবেন ২৫ জন পর্যটক। সুন্দরবনে ভ্রমণের সময় কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ, হরিণ শিকারের ফাঁদ, মাইক-সাউন্ডবক্সসহ কোনো ধরনের শব্দযন্ত্র সঙ্গে নেওয়া যাবে না। পর্যটক ও ট্যুর অপারেটরদের বনের বন্যপ্রাণী ও গাছপালার কোনো ধরনের ক্ষতি না করাসহ মানতে হবে বনবিভাগের পূর্বের সব নির্দেশনা।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, সুন্দরবন-কেন্দ্রিক ৭০টি ট্যুর অপারেটর কোম্পানির অর্ধশত লঞ্চ ও জাহাজের কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় সাত মাস ধরে বেকার জীবন-যাপন করেছে। মাত্র তিন থেকে চার মাস সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম। করোনা স্বাস্থ্যবিধিসহ বনবিভাগের সব নির্দেশনা মেনে আমরা আজ ভোর থেকে সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে যাত্রা শুরু করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর