স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, হৃদরোগ, ক্যান্সার, রক্তচাপ ইত্যাদি অসংক্রামক মরণব্যাধি জীবনের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি তৈরি করে। তামাক সেবন, কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মধ্যে না থাকা, অসম খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণ অসংক্রামক ব্যাধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। এই অসংক্রামক ব্যাধিগুলো থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধ ও সচেতনতার জায়গাটি খুবই সুসংহত করতে হবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার সুযোগ বাড়ানো গেলে অসংক্রামক ব্যাধিগুলো রোধ করা সম্ভব। রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এনগেজিং পার্লামেন্টেরিয়ান্স ইন কন্ট্রোলিং নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি)’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে  সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি। বক্তব্য রাখেন ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের অনারারি সভাপতি গাব্রিয়েলা কুয়েভাস ব্যারন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক, কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা. হারুন-উর-রশিদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, টোব্যাকো ফ্রি কিডসের পরিচালক বন্ধন শাহ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসমক্ষে ধূমপান নিষেধ, জরিমানা আরোপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। নারী-শিশুরাও পরোক্ষভাবে তামাকের কুপ্রভাবের শিকার হয়ে থাকে। এসব ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকায় অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে পারেন।

এ সময় সুস্থ জাতি নিশ্চিতকরণে সংসদ সদস্য ও চিকিৎসকসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।