সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্ত্রীর সঙ্গে সম্মতিহীন যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করতে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রীর সম্মতির বাইরে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল একাত্তর টিভির সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ওয়াহিদা আফসানার পক্ষে নোটিসটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহিদ চৌধুরী জনি। নোটিসে বৈবাহিক ধর্ষণ বা মেরিটাল রেপকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে নারী নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী চাওয়া হয়। এই আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে ফৌজদারি দ-বিধির সেকশন ৩৭৫ এর ভিত্তিতে। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, নারীর ইচ্ছা বা তার সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক করলে অথবা মৃত্যুভয় বা আঘাতের শিকার হয়ে নারী যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিলে সেটি ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া সম্মতি থাকলেও বিবাহিত কোনো নারীর সঙ্গে অন্য পুরুষ যৌন সম্পর্ক করলে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে।

 

তবে ১৩ বছর বয়সের নিচে নয়, এমন কোনো মেয়ের সঙ্গে তার স্বামীর যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না।

আইন সংশোধনের নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালককে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও জানানো হয় নোটিসে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ ও দ-বিধির কোথাও স্বামীর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হলে আইনি পদক্ষেপ নারীরা নিতে পারেন না। সামাজিক বিবেচনায় নারীরা কখনো এ বিষয়টিকে জনসমক্ষে আনতেও পারেন না। অথচ গবেষণায় এসেছে যে, এ বছর ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭টিতে বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইন রয়েছে বলে জানান আইনজীবী জাহিদ চৌধুরী জনি। তিনি বলেন, কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইন বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর