মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতারক সিকদার লিটন দুদকের চার্জশিটভুক্ত মামলারও আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাবের হাতে আটক ডজনখানেক মামলার আসামি প্রতারক সিকদার লিটন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চার্জশিটভুক্ত মামলারও আসামি। পাবনায় একজন ব্যবসায়ীর করা প্রতারণা মামলায় ‘অর্থ হাতিয়ে’ নেওয়ার প্রমাণ পায় সংস্থাটি। দুদকসূত্র জানান, বিভিন্ন অপকর্ম, দালালি, প্রতারণা এবং মানুষকে ঠকিয়ে টাকা নেওয়াই ছিল লিটনের মূল কাজ। এভাবে অনেকের সঙ্গেই তিনি প্রতারণা করেছেন। ভয়ঙ্কর এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধসহ নানা অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়িত নন সিকদার লিটন। নিজের শ্বশুরের নামেও পাঁচটি মামলা করেছেন তিনি। কয়েক অসৎ রাজনৈতিক নেতার প্রশ্রয়ে লিটন একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালিয়েছেন।   গত ১৯ অক্টোবর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসতে থাকে সিকদার লিটনের অপরাধের ফিরিস্তি। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে সিকদার লিটন স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তিনি এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে তিনি একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, এ ধরনের প্রতারকদের শাস্তি থেকে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। এদের যথাযথ শাস্তি হওয়া জরুরি।

২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি পাবনার আমিনপুর থানায় লিটনের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করেন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ শীল। তদন্ত শেষে আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে দুদক। যেখানে প্রতারক লিটনের অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী কোবাদ হোসেন বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত মামলায় কোনো আসামির খালাস পাওয়ার সুযোগ নেই। সিকদার লিটনকেও তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে।

এদিকে প্রতারক লিটনকে গ্রেফতারের পর ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখায় সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। এ মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন লিটন। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর