মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ছয়জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ছয়জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মতিঝিলে বিল্লাল হোসেন (৪০), সবুজবাগে সোনিয়া আক্তার সুমি (১৯), মগবাজারে আহির বিশ্বাস (১৫), মিরপুরে মোহাম্মদ মঞ্জু (২৫), কদমতলীতে হাসিবুল হোসেন মুন্না (১৮) ও আড়াই বছর বয়সী সাদিয়া আক্তার। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত আহিরের মামা তাপস কান্তি বল জানান, আহির টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ভারতেশ্বরী হোমস স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। গতকাল সকালে মগবাজারের গাবতলার বাসায় আহির দরজা খুলছিল না। আহির ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আহিরকে দেখতে পাই। দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহিরের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার থানার শষিকরে। বাবা ডা. রঞ্জিত বিশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি একটি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক। মা সংগীতশিল্পী রমা বাড়ৈ। দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে আহির বড়। মতিঝিল থানার এসআই মো. জয়নাল আবেদীন জানান, কুমিল্লার চান্দিনার আবদুল খালেকের ছেলে বিল্লাল হোসেন। এক মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনির জি ১২/১/২ নম্বর বাসার নিচতলায় থাকতেন। রবিবার রাতে বিল্লাল বাসার রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। কী কারণে বিল্লাল গলায় ফাঁস দিয়েছে তা জানা যায়নি। সবুজবাগ থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সোনিয়া আক্তার সুমি সবুজবাগের কদমতলার ৮ নম্বর লেনের একটি বাসায় থাকত। সুমির বাড়ি বাগেরহাটে। গত চার মাস আগে শামীম এবং সুমির বিয়ে হয়। শামীম কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যামেরাম্যানের কাজ করতেন। সুমি  ছিলেন গৃহিণী। সুমি তার স্বামীকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। সব সময় স্বামীর  সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এ নিয়ে রবিবার সুমি বাবার সঙ্গে রাগ করেন। রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন সুমি। বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। গতকাল দুপুরে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে পড়ে মঞ্জু নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাবার নাম মোস্তফা মিয়া। গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার পদ্মমানসায়।

 

রবিবার রাতে কদমতলীর মোহাম্মদবাগে গলায় ফাঁস দিয়ে মুন্না আত্মহত্যা করেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুন্না ছোট। মুন্নার বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, মুন্না করোনাভাইরাসের আগে একটি কোম্পানিতে চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার। তাকে ইতালি পাঠানোর কথা চলছিল। রবিবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মুন্না।

গতকাল দুপুরে কদমতলীর পাওয়ারহাউস এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার হরিণামারীতে। তারা পাওয়ারহাউস চান টেক্সটাইলের পাশে শাহিনের বাড়িতে থাকতেন।

সর্বশেষ খবর