বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পর্যটকের ঢল সাজেকে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পর্যটকের ঢল সাজেকে

রাঙামাটির সাজেকে নামছে পর্যটকের ঢল। প্রায় প্রতিদিন আসছে দুই থেকে চার হাজারেরও অধিক মানুষ। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অগণিত মানুষের অরণ্যে পরিণত হয় পাহাড়। শুধু রাঙামাটির সাজেক নয়, এমন পর্যটক উৎসবে মেতেছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান।  করোনার দীর্ঘ স্থবিরতা কাটিয়ে সবুজ অরণ্যে রাজ্য পার্বত্যাঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। বইছে পর্যটক উৎসবের আমেজ। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটক আগমনে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই কোথাও। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ভিড় থাকে বেশি। তাই অগ্রিম বুকিং থাকে শতভাগ। আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলোতে কোথাও রুম খালি নেই। সড়কে, সড়কে পিকনিক পার্টি ও ভ্রমণ পিপাসুদের গাড়ির বহরের ভিড় লেগে আছে পুরো সাজেক পাহাড়জুড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনায় দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিল রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। আর এ ফাঁকে সাজেকের প্রকৃতি ফিরেছে আপন রূপে। আকাশের মেঘ যেন উড়ে উড়ে এসে বসেছে পাহাড়ের কোলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুললেই দেখা যায় মেঘের চাদরে ঢাকা সাজেক। তবে শুধু সকাল নয়, বিকালে দেখা মিলে গোধূলি রঙে মেঘের লুকোচুরি।

যা পর্যটকদের কাছে সাজেকের অন্যতম আকর্ষণ। আর সর্বোচ্চ চূড়া থেকে দূর পাহাড়ি গ্রামগুলোকে মনে হয় শিল্পির পটে আঁকা ছবি। আর পাহাড়ে গা ছুঁয়ে ভেসে বেড়ায় টুকরো টুকরো মেঘ। সন্ধ্যা হলে শুরু হয় কুয়াশার হাতছানি। আর স্নিগ্ধ বাতাসে ভেসে আসে পাহাড়ি ফুলের গন্ধ। ঠিক তখনই দূর পাহাড়ি গ্রাম জমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের গানের আসর। এসবের আকর্ষণে মাতোয়ারা পর্যটকরা। তাই তো প্রতিদিন সাজেকে নামছে পর্যটকের ঢল।  রাঙামাটির সাজেক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণ দেব বর্মণ জানান, পর্যটকদের সুবিধার জন্য সাজেকে অনেক বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট আর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলোতে মিলছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিভিন্ন খাবার। যার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি।

সাজেক বিলাসের ব্যবস্থাপক জ্ঞান জ্যোতি চাকমা, সম্প্রতি সাজেকে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার পর্যটক আসছে এখানে। দীর্ঘ করোনার দখল কাটিয়ে সাজেকের পর্যটন ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। অগ্রিম বুকিংও থাকছে প্রতিদিন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সাজেকে নিরাপত্তার অভাব নেই। অগণিত মানুষের ঢল নামছে সাজেকে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া সাজেকে পর্যটকদের পর্যাপ্ত থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর