আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জেল হত্যাকান্ডের অনেক রহস্য উন্মোচন এখনো হয়নি। ইতিহাসের সত্যের স্বার্থে ও নতুন প্রজন্মকে জানাতে জেল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা দরকার। এ রহস্য খুঁজে বের করতে হবে। গতকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা এবং একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতা।
একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এই দুটি কলঙ্কিত হত্যাকা- সংঘটিত করা হয়েছে। অভিভাবকশূন্য করতে বঙ্গবন্ধু হত্যা আর নেতৃত্বশূন্য করতেই ’৭১-এর পরাজিত শক্তি জেলহত্যা সংঘটিত করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নেতাদের হত্যা করে সেদিন তারা আমাদের নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর কেন জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা, কর্নেল হায়দারসহ অসংখ্য সেনাবাহিনীর অফিসার-জওয়ানকে সেদিন সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে হত্যা করা হয়েছিল, তার অনেক রহস্য এখনো উন্মোচন হয়নি। ইতিহাসের সত্যের স্বার্থে এবং আগামী প্রজন্মকে সব বিষয়ে জানাতে আমাদের এ বিষয়টি উদঘাটন করা দরকার।এরপর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় চার নেতার শাহাদাতবার্ষিকীতে এটাই শপথ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। কাজেই আজ আমরা শপথ করব, আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তথা সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, সৎ ও যোগ্য নেতার অভাব। আমি বলব- আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন, এ দেশে দুর্নীতির রাজনীতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ যারা করেছেন, তারা হলো বিএনপি। পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সেই বিএনপির মুখে সততার রাজনীতির কথা শোভা পায় না। তিনি বলেন, এ দেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সৎ এবং যোগ্য নেতা। বঙ্গবন্ধুর পর অর্থাৎ পঁচাত্তর-পরবর্তীতে সবচেয়ে সৎ এবং যোগ্য নেতা বিশ্বনন্দিত শেখ হাসিনা।