বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সংকট চলছে বিএনপির রাজনীতিতে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংকট চলছে বিএনপির রাজনীতিতে : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। তবে সংকট চলছে বিএনপির রাজনীতিতে। বারবার আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপির রাজনীতিতে এখন সংকটের কালো ছায়া পড়েছে। গতকাল তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দলীয় নেতৃত্বের মধ্যেও এখন পারস্পরিক আস্থার সংকট চরমে। বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছে? তাদের ভাষায় গণতন্ত্র কি তাহলে হালুয়া-রুটির গণতন্ত্র? হাওয়া ভবনের গণতন্ত্র? নাকি রাতের বেলা কারফিউ জারির গণতন্ত্র?

 বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুড় আর আধা সের পানির মিশ্রণে স্যালাইনের মতো গণতন্ত্র। বিএনপি অবিরাম অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হঠানোর যে ঘোষণা তা কি তাদের গণতন্ত্র?’ নেতিবাচক, মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র ছাড়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষায় বিএনপি কী করেছে?

গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে আরও অনেক পথ ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে অবিরাম যাত্রা তাতে তারা কী ভূমিকা রাখছেন, তা জনগণ জানতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচারের কথা বলছে। কিন্তু এসব কিছু তাদের শাসনামলে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। তারা সংবিধান থেকে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপির হাত দিয়ে সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি এখনো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্থাভাজন এবং মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সরাসরি বেনিফিশিয়ারি। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও চেতনাকে পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করাই বিএনপির ইতিহাস ও রাজনৈতিক সাধনা, যা ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শুরু হয়। পাকিস্তানি ভাবধারায় নিজস্ব রাজনৈতিক মানস গঠন করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়বে-এ কথা নির্ভেজাল প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে বিএনপি রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। তাদের মুখে স্বাধীনতার সুরক্ষার কথা মানায় না।

আসন্ন শীতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যেই ইউরোপের কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি ধর্মীয় ইস্যুসহ নানান ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মতলবি মহল উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে, রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা নিঃসন্দেহে শাস্তিমূলক অপরাধ। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমাদের সবার প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। হতে হবে পর- ধর্ম সহিষ্ণু। কেউ কারও ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত বা কটাক্ষ করে পোস্ট দেবে এটা প্রত্যাশিত নয়। উসকানিমূলক পোস্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। উসকানিমূলক কিছু নজরে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনুন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর