বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অন্যদের স্বপ্ন দেখানোর জায়গা বাংলাদেশ

------- অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্যদের স্বপ্ন দেখানোর জায়গা বাংলাদেশ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মহামারীর অচলাবস্থার পর সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, অন্যদের শক্তি জোগানোর জন্য বাংলাদেশ। অন্যদের স্বপ্ন দেখানোর জন্য বাংলাদেশ। সক্ষমতার বাংলাদেশ। আমি মনে করি বাংলাদেশ এক অসাধারণ জায়গা। বাংলাদেশ আর কোনোভাবেই নিচে নামবে না। ওপরে উঠতেই থাকবে। গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে। আগামী ১৪ মাসে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে।

 

নিশ্চই আপনারা জানেন আমরা কোন কোন কৌশল ব্যবহার করে আজকে এ অবস্থানে এসেছি। আমাদের যে অগ্রগতি, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা এটা স্বাধীনতার পর থেকেই। বাংলাদেশ অসাধারণভাবে এবং অসাধারণ সফলতার সঙ্গে করোনা ধাক্কাকে মোকাবিলা করেছে। মেজর ইন্ডিকেটরগুলো দেখলে বোঝা যাবে আমরা এখন কোথায় আছি।

রিজার্ভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আমাদের যদি ভালো প্রকল্প থাকে, সরকারের প্রকল্প থাকে, এমন প্রকল্পে যদি অর্থায়ন করি তাহলে একদিকে আমাদের ঋণ বাড়ল না, আরেকদিকে আমাদের টাকাটা নিজের ঘরেই রয়ে গেল এবং আমরা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলাম। এভাবেই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী ১৪ মাসের ভিতরে ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে।

রিজার্ভ ব্যবহারে প্রাইভেট কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখানে কোনো অবস্থান নেই কারণ আমি টাকা নেবও না, ব্যয়ও করব না। এটি পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওটা করে যদি আমরা কমার্শিয়ালি বেনিফিট হই তাহলে তা সেভাবেই কাজে লাগানো হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবীও এখন অবাক বনে যান যে, বাংলাদেশ এত ভালো করছে কীভাবে! বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ সবাই এখন আমাদের নিয়েই চিন্তা করে। বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করছে। করোনা মহামারী সত্ত্বেও আমাদের এগিয়ে যাওয়া এবং অগ্রগতির মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ। বাংলাদেশ যখন সৃষ্টি হয় তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি যে, বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে। সেই জায়গা থেকেই উঠে আসা বাংলাদেশ।

জিডিপির প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাজই হলো নাম্বার নিয়ে। আমার কাঁচামালই নাম্বার। নাম্বার নিয়েই আমি কাজ করি। আমি বলি যখন কোনো নাম্বার দিয়ে দিই, তখন সেটা সঠিকই হবে। বিশ্বব্যাংক আমার দেওয়া প্রক্ষেপণ নিয়ে মতামত দিয়ে যখন বলে যে, এটা হবে না আমি কিন্তু চ্যালেঞ্জও করি। এবং সেটাই হয় যেটা আমি বলি। আমি যা বলি বাস্তবসম্মতই বলি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর