বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষুদ্রতম কোরআন শরিফ খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় ক্ষুদ্র আকারের কোরআন শরিফের প্রাচীন একটি কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ক্ষুদ্র কোরআন বলে দাবি করা হচ্ছে। এটি সংরক্ষিত আছে খুলনার দিলখোলা এলাকার রুহুল আমিন নামে বয়োবৃদ্ধ এক ব্যবসায়ীর কাছে। সন্ধান পাওয়া কোরআনটির দৈর্ঘ্য ২৩ মিলিমিটার, প্রস্থ ২২ মিলিমিটার, উচ্চতা ৫ মিলিমিটার। এটি ৩০ পারার একটি কোরআন। ছাপার অক্ষরের এই কোরআন খালি চোখে পড়া যায় না। তাই মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে তা পড়তে হয়। সম্প্রতি রাজশাহীতে সন্ধান পাওয়া তিন সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, দুই সেন্টিমিটার প্রস্থ ও দুই সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র কোরআন শরিফের থেকেও এটি ক্ষুদ্র।

রুহুল আমিনের দাবি, এটি এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ক্ষুদ্রতম কোরআন শরিফ। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবের রিয়াদে চাকরি করেছেন। ১৯৯৮ সালে হজ্বের সময় তার ডিউটি ছিল মক্কায়। মিসরের এক ব্যক্তি হজ্ব করতে এসে সেখানে হার্ট অ্যাটাক করেন। তিনি তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। দুই তিন ধরে তাকে সেবা শুশ্রƒষা করার পর তিনি সুস্থ হন। পরে কৃতজ্ঞতা হিসেবে তাকে মহামূল্যবান এই কোরআন শরিফটি উপহার দেন। এমন ছোট আকারের কোরআন তিনি এর আগে-পরে কখনো দেখেননি।

রুহুল আমিন জানান, কোরআন শরিফটির আকার ক্ষুদ্রতম হওয়ায় আগ্রহের কারণে তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন প্রায় একই আকারের একটি কপি মিসরের আলহাজরা ইউনিভার্সিটির ইসলামিক লাইব্রেরি ও আরেকটি কপি তুরস্কে আঙ্কারা ইসলামিক লাইব্রেরিতে আছে। যা বিশ্বের মধ্যে ক্ষুদ্রতম কোরআন শরিফ বলে বিবেচিত। মূলত এ ধরনের কোরআন মাদুলির সঙ্গে গলায় রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ইমাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান বলেন, কোরআন শরিফটি বহু পুরনো, এ বিষয়টি নিশ্চিত। তবে এই কোরআন শরিফ এশিয়ার সবচেয়ে ক্ষুদ্র কিনা তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর