বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে সবার ঐকমত্য

ইসির মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে, এ জন্য সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন। গতকাল এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে ইসি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা এই মতামত দেন। বক্তরা বলেন, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে রোহিঙ্গারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, নাগরিক সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট কিছুই করতে পারবে না। গতকাল রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তি ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন রোধে নির্বাচন কমিশন এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ভার্চুয়াল মিটিং সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে।ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ ডিজি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রসাশক ও বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি পাসপোর্টসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী স্বার্থের উপরে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত দলিলপত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থার কর্তৃপক্ষ ও অধিদফতর দফতরগুলোকে খুবই সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এর পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এনআইডি প্রস্তুত থেকে তৈরি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দফতর এবং সংস্থাকে সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান মহাপরিচালক।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ ফরম পূরণ ও দাদা-দাদির স্বাক্ষর, বিশেষ কমিটির নিকট উপস্থাপন, বিশেষ কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই, নিবন্ধন যোগ্য নাগরিকের তালিকা প্রস্তুতের পর রেজিস্ট্রেশন ও ডাটা আপলোড কার্যক্রম শেষে ভোটার তালিকার প্রস্তুতিকরণ করা হয় বলে জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর