রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে র্যাব। এর মধ্যে মাদক মামলায় মনিরকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। ঢাকা উদ্যান হাউজিং সোসাইটিতে মনিরের বাগানবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওয়ান শুটার গান উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব-২ এর একজন উপ-সহকারী পরিচালক অস্ত্র আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তার কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাবের একই কর্মকর্তা মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানায়, ঢাকা উদ্যানের বাগানবাড়িতে মনিরের ‘সাবিহা রিয়েল এস্টেট’র অফিস। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি দখল, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ৭৫টি মামলা ও জিডি রয়েছে। মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা হাউজিং, তুরাগ হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, একতা হাউজিং, শ্যামলী হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, গ্রিন সিটিসহ ১০টি হাউজিং প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্লট দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। র্যাব জানায়, মনির স্থানীয় কাজী আশরাফ আল কাদের ও তার স্ত্রী ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার ঢাকা উদ্যানের ডি ব্লকের সাড়ে ৬ কাঠার ৫৪ নম্বর প্লটের দোতলা বাড়িটি দখল করেন। আরেক ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোস্তাফা নাজিম ঢাকা উদ্যানের সি-ব্লকে ১ নম্বর সড়কের একটি প্লটে চলতি বছরে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে মনির তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও লুটপাটের শিকার হন মোহাম্মদপুরের বছিলা রোডের আজহার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বরকত উল্লাহ। মইন উদ্দিন ও জহির উদ্দিনের মালিকানাধীন শ্যামলী হাউজিংয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পের এইচ ব্লকের ১ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িটি মনিরের ক্যাডার বাহিনী দখল করে নেয়। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গতকাল বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মাদক মামলার রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে।