সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাগ্য ফেরাতে লড়ছেন নারী উদ্যোক্তারা

গড়ে তুলেছেন অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফরম

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনাকালীন সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খুলনার ক্ষুদ্র ও মাঝারী নারী উদ্যোক্তারা। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া, কর্মচারির বেতন জীবিকা নির্বাহের ব্যয়-সব মিলিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কয়েকশ’ নারী উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছেন অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম ‘খুলনা বিজনেস সোসাইটি’। এর মধ্যে সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪ হাজার। চাহিদা অনুযায়ী নিজেরাই পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করছেন সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে। বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ’র খুলনা বিভাগীয় প্রধান শামীমা সুলতানা শিলু বলেন, ‘সাধারণ নারীরা নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এখানে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। ঘরে বসে তৈরি বিরানি, মিষ্টি সেমাই কেক বা থ্রি-পিচ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করছেন। অনেকে গ্রাম থেকে আনা টাটকা শাক-সবজি, মাছ, মধু বিক্রি করছেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন নারীরা।’ জানা যায়, করোনা লকডাউনের মধ্যে গত জুলাইতে ‘খুলনা বিজনেস সোসাইটি’ নামের সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ‘মৌ কিচেন’র স্বত্বাধিকারী মৌ ইমরোজ জানান, ‘অনলাইনে খাবারের পোস্ট দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বিরানি অর্ডার পাচ্ছি।

 সেই সঙ্গে ফাস্ট ফুড বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বিক্রি করছি। তবে এখানে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই খাদ্যের মান বজায় রাখা জরুরি।’

একইভাবে মমতা হোম অব এক্সিলেন্স’র উদ্যোক্তা মৌসুমী চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় যারা সাধারণ গৃহিণী হিসেবে বাসায় বসেছিলাম। তারা বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সময়টাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি। সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় আর্থিক সংকট কাটতে শুরু করেছে।’

এদিকে নতুন নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে উৎপাদনে কাজে লাগাতে পারলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হবে বলে মনে করেন সংগঠনের অন্যতম উদ্যাক্তা সোহাগ সরকার। তিনি বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে অনেকে তাদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বিক্রি করত। খুলনা বিজনেস সোসাইটি’র ব্যানারে তাদেরকে একটা জায়গায় আনা হয়েছে। যাতে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও খাঁটি পণ্য ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর