রাজধানীর কাছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা অনিশ্চয়তায় রয়েছে। ময়দানে নেই ইজতেমার প্রস্তুতি, নেই কোনো কার্যক্রম। তাই এবার ইজতেমা হবে কি, হবে না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে মুসল্লিরা। করোনা মহামারীর কারণেই এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এখনো সরকারিভাবে পরিষ্কার কোনো নির্দেশনা পায়নি আয়োজক কমিটি। তবে আয়োজক কমিটি যোবায়ের ও সাদ অনুসারী উভয়পক্ষ ইজতেমা সফল করতে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেলেই হয়তো ময়দানে প্রস্তুতি কাজ শুরু হবে। গতবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১০ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্বের ন্যায় প্রথম পর্বে ইজতেমার আয়োজন করবে যোবায়ের অনুসারীরা। এরপর দ্বিতীয় পর্বে সাদ অনুসারীরা ইজতেমার আয়োজন করবে। এ বিষয়ে এক মুসল্লি মাওলানা ইসমাইল হোসেন বলেন, সারা দেশে সব হচ্ছে, পর্যটন খুলে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে হাজার হাজার লোক একত্রে মিটিং মিছিল করছে, তাহলে যেখানে আল্লাহ ও কোরআন হাদিসের কথা বলবে সেখানে কোনো বাধা থাকতে পারে না। তাছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় ধর্মীয় মজমা হলো বিশ্ব ইজতেমা।

তিনি আরও বলেন, যোবায়ের ও সাদ উভয়পক্ষ ঐক্যবদ্ধভাবে ভুলবোঝাবুঝি পরিহার করে বিশ্ব ইজতেমা পালন করা উচিত। এতে সাধারণ মুসল্লিদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হবে। এ ব্যাপারে (যোবায়ের) ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবার ইজতেমা হবে কিনা এ বিষয়ে একটু অনিশ্চিত। করোনার কারণে সরকারিভাবে নির্দেশনা না পেলে বলা যাচ্ছে না কিছু। সাদপন্থি মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি অনুমতি পেয়ে যাব। তবে এবার আমরা প্রথম পর্বে ইজতেমা আয়োজন করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই ছোট পরিসরে হলেও এটা হওয়া উচিত। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এত বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা বাস্তবায়নে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা থাকবে। আয়োজক কমিটি সাদের পক্ষ থেকে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে। যেহেতু বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তারপরও এ নিয়ে আমি কথা বলব।