নীলফামারীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ইমনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ের সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও আসামিপক্ষে আইনজীবী মো. আবদুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মৃত্যুদ- দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। এরপর নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে পৌঁছায়। এদিকে আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। আমিরুল ইসলাম ইমনের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। নথিসূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক অনটন ছিল। পরে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে গার্মেন্টে কাজ শুরু করেন এই দম্পতি। রাজধানীর পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেকশনে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। সেখানে এসেও ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে আয়েশাকে প্রায়ই মারধর করতেন ইমন। যৌতুক দিতে না পারায় ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুবকর সিদ্দিক রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেফতার ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে আমিরুল ইসলাম ইমন ও সৌরভ নামে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল খালেক। তবে বিচারিক আদালতের রায়ে আসামি সৌরভ খালাস পান।