৭৩ বছর বয়সে মাস্টার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছেন রওশন আলী। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সমাজকর্ম বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হন তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে রওশন সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩.৫০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। জানা গেছে, বয়োবৃদ্ধ এই শিক্ষার্থী এইচএসসি পাসের পর শিক্ষকতায় যুক্ত হন। পাশাপাশি পড়াশোনা অব্যাহত রেখে ডিগ্রি পাস করেন। ২০০৮ সালে অবসর নেন। প্রায় এক যুগ পর পাস করলেন মাস্টার্স (এমবিএ)। পাবনা কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদ রনি বলেন, রওশন আলীর কাছে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক ও কোর্স সমন্বয়কারী জাহিদ হাসান বলেন- বিষয়টি অনুকরণীয় এবং আশ্চর্যেরও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও তৎকালীন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান আওয়াল কবির জয় বলেন, এটি নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত। রওশন আলী পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৪৮ সালে তাঁর জন্ম। সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সুজানগরে শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কয়েক বছর পর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ব্যস্ততা আর নানা সমস্যায় পড়াশোনা করা হয়নি। তিনি ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নেন। তার দুই ছেলের বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে পাবনার একটি কলেজে বাংলা বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক আর ছোট ছেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশায় রয়েছেন।
