আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় টিআইবির সুশাসন বিষয়ক প্রতিবেদনটি যতটা না গবেষণাধর্মী তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। তীব্র নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে করোনায় করণীয় বিষয়ক গবেষণার সুপারিশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বলা হয়েছে এবং আরও একধাপ এগিয়ে হয়রানিমূলক সব মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গতকাল তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
বিশ্বসমাজ যখন করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করছে তখন সরকারের ন্যূনতম একটি ভালো উদ্যোগও টিআইবির গবেষক দলের চোখে পড়েনি, যা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ গবেষণার উদ্দেশ্য এবং বিধেয় নিয়ে জনমনে অবিশ্বাস এবং প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। জনগণ মনে করেন এ গবেষণা সমাজ গবেষণার সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় নয়, এটি রাজনৈতিক কিংবা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
টিআইবির প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো সংস্থা কিংবা কোনো দলের দাবি বা সুপারিশের প্রেক্ষিতে নয়। শেখ হাসিনার সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আগেই নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করেছে।তিনি বলেন, করোনা মহামারী বিশ্বে এক নতুন অভিজ্ঞতা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আশঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো আছে বাংলাদেশ। তিনি জানান, শীতকালে সম্ভাব্য দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিএনপি করোনায় অসহায় মানুষের জন্য কী করেছে, তা তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে ছিল বলেই করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণও হারিয়েছে।