দেশের মঙ্গলের জন্য যা করণীয় সরকার তার সবকিছুই করবে। আমরা সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখব। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এখন সোনালি অধ্যায়ে রয়েছে। আবার চীনের সঙ্গেও আমাদের গভীর বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বরফ গলাতে বাংলাদেশ মধ্যস্থতা করবে। গতকাল বিকালে পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শনে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের বিশাল অর্জন। আমরা নিউক্লিয়ার মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে সোচ্চার; কিন্তু মানুষের উপকারে ইতিবাচক কাজে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের পক্ষে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি করবে। আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সারা পৃথিবীর স্বীকৃতিও পেয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গেলেও রূপপুরে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করেছেন রাশিয়ান ও দেশীয় কর্মীরা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বলেন, ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে রিএকট্যার প্রেসার ভেসেলের ভারী যন্ত্রাংশ নদীপথে প্রকল্পের নবনির্মিত জেটিতে পৌঁছতে শুরু করেছে। যন্ত্রাংশগুলো নামাতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে।

প্রয়োজনীয় কারিগরি কার্যক্রম শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে তা মূল নিউক্লিয়ার বিল্ডিংয়ে সংযোজন শুরু হবে। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫২ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখে। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।