সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

সমালোচনার মুখে তালিকা শুরু চট্টগ্রামে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরে অবৈধ হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রের কোনো তালিকা নেই। এ নিয়ে সমালোচনা-অভিযোগ অন্তহীন। তার ওপরে করোনাকালে চট্টগ্রামবাসী বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এক অমানবিক চিত্র দেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। চট্টগ্রামে বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৫৮০টি। এর মধ্যে হালনাগাদ পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স আছে ১৫০টির। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতিকদের ছত্রছায়ায় নান্দনিক চাকচিক্যে অবৈধভাবে হাসপাতালগুলো তৈরি করা হয়। কিন্তু নানা সমীকরণে এসব প্রতিষ্ঠান থাকে স্বাস্থ্য প্রশাসনের নজরদারির বাইরে। ফলে দিনের পর দিন এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ভুক্তভোগী রোগীদের ঠকিয়ে আসছে। ভুল চিকিৎসা, অপচিকিৎসা, নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচার, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ নানা অনিয়ম থাকলেও প্রতিকার নেই। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে বর্তমানে ৫৮০টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে। এর মধ্যে লাইসেন্স আছে ১৫০টির।

তবে ইতিমধ্যে ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য পরিদর্শন করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স ছাড়া চলছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। তাই নগরের অবৈধ  হাসপাতাল-ল্যাবের তালিকা করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক অবৈধ হাসপাতাল-ল্যাবের তালিকা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নগরের অবৈধ হাসপাতাল-ল্যাবের তালিকা করা হয়নি। এরই সুযোগে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ল্যাব নির্মাণ করে। এসব সেবা প্রতিষ্ঠানে চলে রোগীদের সঙ্গে চরম প্রতারণা। এ নিয়ে অভিযোগ করার কর্তৃপক্ষ থাকলেও এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।

সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর রাতে এমন অনিয়মে নগরের সিটি হেলথ ক্লিনিককে সিলগালা করেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। একই সঙ্গে ক্লিনিকের দুই কর্মকর্তা ও একজন নার্সকে আটক করা হয়। তাছাড়া এ কে খান এলাকার বেসরকারি আল-আমিন হাসúাতালে অভিযান চালিয়ে এক্স- রে পরীক্ষার রুমে অব্যবস্থাপনা ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অকেজো হওয়ায় রোগনির্ণয় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর