খুলনায় রাতের আঁধারে ফের ছিনতাইকারী চক্র ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। দ্রুতগতির মটরসাইকেলে এসে মুহূর্তে অটোরিকশার যাত্রী বা পথচারীর কাছ থেকে ব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে পরপর একই স্টাইলে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর রাতে মুজগুন্নি নেসারিয়ার মাদ্রাসার সামনে কলেজ ছাত্র হৃত্বিক হালদারের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় টানা পার্টির সদস্যরা। কালো রঙের মটরসাইকেলে এসে দুই যুবক মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। একইভাবে ১১ নভেম্বর রাতে বৈকালী মোড়ে ইজিবাইকে থাকা জাপা নেতা জাকিরুল ইসলামের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। মটরসাইকেলে থাকা যুবক হঠাৎ চলন্ত অবস্থায় ইজিবাইকের পাশে এসে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে চেষ্টা করলে কাড়াকাড়িতে তা’ মাটিতে পড়ে যায়। পরে ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। এর আগে খালিশপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে রিকশা থেকে যাত্রীর ব্যাগ টেনে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছিনতাইয়ের কাজে মটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে খুলনা-যশোর হাইওয়ে জোড়াগেট থেকে স্টেডিয়াম এলাকা, খালিশপুর, গল্লামারী সড়ক বা তুলনামূলক ফাঁকা সড়কে সন্ধ্যার পর থেকে টানা পার্টির সদস্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব জায়গায় পুলিশের টহল তেমন থাকে না। কখনো চালককে জখম করে ইজিবাইক, মটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। পুলিশের ধারণা সংঘবদ্ধ চক্র এ অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। খালিশপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক আহমেদ জানান, কিছুদিন আগেও এ ধরনের একটি চক্রকে আটকের পর ছিনতাই বন্ধ ছিল।
তবে চক্রের অন্য সদস্যরা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।