স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি এই সংবিধান। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে বাংলাদেশের সংবিধান দিয়ে বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে শহীদদের রক্তদান সার্থক হবে।’ এই সংবিধান তখনই সার্থক হবে যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনীত প্রস্তাব অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অধিবেশনের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বাঙালির প্রাণের গভীর হতে উৎসারিত নির্মল ভালোবাসার অশ্রুধারায় সিক্ত, হৃদয় নিংড়ানো আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব থাকবেন সদা সমুজ্জ্বল। ইতিহাসের পাতায় চিরজাগ্রত অমর এক নাম শেখ মুজিব। তাঁরই প্রেরণায় বাঙালি গেয়ে যাবে জীবনের জয়গান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে ১৯৭২ সালের সংবিধান যেন বাংলার মানুষের আশা আকাক্সক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ হয়, মুজিববর্ষে আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। এ সময় স্পিকার আরও বলেন, গত ১৩ নভেম্বর ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক বক্তৃতায় বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুর আগে মানবতাকে অগ্রাধিকার দিতেন এবং জনগণের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। আমি এখন যা করছি তা জাতির পিতার আদর্শের প্রতিচ্ছবি।’ আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখি।
