সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নেবে উত্তর সিটি

বাড়িতে বসেই ট্যাক্স দিতে পারবেন নগরবাসী

জয়শ্রী ভাদুড়ী

আগামী জানুয়ারি থেকে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বাড়িতে বসেই হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে পারবেন নগরবাসী। এতে ট্যাক্স আদায় বেড়ে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছে ডিএনসিসি। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সব অঞ্চলে অনলাইন সার্ভিস চালু হবে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইংরেজি নতুন বছরে নগরবাসীকে অনলাইনে ট্যাক্স সেবা উপহার দেব। বাসিন্দাদের ট্যাক্স দিতে সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে আসার প্রয়োজন নেই। অটোমেশন প্রক্রিয়ায় ট্যাক্স দিতে পারবেন। শুধু নগরবাসীর নয়, এতে রাজস্ব আদায়কারী কর্মকর্তাদেরও সুবিধা হবে। এখন ১৭টি ভলিউমে টালি করে ট্যাক্স জমা নিতে হয় তাদের। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ডিএনসিসিতে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি হোল্ডিং রয়েছে। প্রতিদিনই হোল্ডিংয়ের সংখ্যা কিছু কম বেশি হয়। নতুন সংযোজন হয় আবার বাদও যায়। গত অর্থ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। ডিএনসিসির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ কোটি টাকা। ১০০ কোটি টাকা বকেয়া আদায়ে মাঠে নামতে হয়েছে সিটি করপোরেশনকে। আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকা  জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে মাসব্যাপী চালানো হয়েছে বিশেষ অভিযান। ডিএনসিসির সব অঞ্চলে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ চিরুনি অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল করের পরিধি বাড়ানো, বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভুক্ত করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণকে কর প্রদানে উৎসাহ দেওয়া।

অভিযানে কর বহির্ভূত বাড়িঘর/স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট/বাড়িঘর/স্থাপনা করের আওতায় আনা হয়েছে। বেশকিছু ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে নবায়নের আওতায় আনা হয়েছে।

ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত অর্থবছরে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ কোটি টাকা। বকেয়া আদায়ে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। এতে ভালো সাড়া পেয়েছি। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বাড়াতে অনলাইন পদ্ধতিতে যাচ্ছি আমরা। এতে জনভোগান্তি কমবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের জনবল সংকট থাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স এনালগ প্রক্রিয়ায় আদায় করতে অসুবিধায় পড়তে হতো। অটোমেশন হলে জনবলের ঘাটতি থাকবে না। রাজস্ব আদায় না হলে নগরের উন্নয়ন করে সিটি করপোরেশনের নিজের পায়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।’

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরে থাকতে হলে সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, সিটিতে অনেকেই ডিএনসিসির সুবিধা নিয়ে থাকেন, কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছেন না। আমরা ট্যাক্সের রেট বাড়াব না। যারা এর আওতাভুক্ত ছিলেন না, তাদের আওতাভুক্ত করা হবে। বকেয়া পাওনা থাকলে পরিশোধ করতে হবে। অনলাইন সেবায় বাসিন্দাদের ট্যাক্স পরিশোধ আরও সহজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর