মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছে ১১৬ জনের বেশি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছে ১১৬ জনের বেশি

চট্টগ্রামে শীত মৌসুম শুরু না হতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত আট দিনে গড়ে দৈনিক ১১৬ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। অথচ এর আগের এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হয়েছিল ৮৩ জন করে। শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শঙ্কা দেখা দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর। গত রবিবার ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জন শনাক্ত হয়। গত তিন মাসে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর মধ্যে ১৬৯ জনই নগরের বাসিন্দা ও ১২ জন  বিভিন্ন উপজেলার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা নিয়ে সরকারের তোড়জোড়ের মধ্যেই চট্টগ্রামে হঠাৎ করে করোনা রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর নতুন করে আক্রান্ত হয় ১০৩ জন, ৯ নভেম্বর ১০৮, ১০ নভেম্বর ১০৭, ১১ নভেম্বর ১১৩, ১২ নভেম্বর ১০৮, ১৩ নভেম্বর ১৪৬, ১৪ নভেম্বর ৬৩ ও ১৫ নভেম্বর ১৮১ জন। এই আট দিনে গড়ে আক্রান্ত হয়েছিল ১১৬ জনের বেশি। কিন্তু এর আগে ১ নভেম্বর আক্রান্ত হয়েছিল ৮২, ২ ও ৩ নভেম্বর ৮০ জন করে, ৪ নভেম্বর ৯৬, ৫ নভেম্বর ৮৬, ৬ নভেম্বর ৯৬ ও ৭ নভেম্বর ৬৩ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে কোনো মৃত্যু ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয় ১৮১ জন। এটি আমাদের সবার জন্যই সতর্কবার্তা।

এখন থেকেই আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আছে।’

জানা যায়, চট্টগ্রামে গত রবিাবর পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হন ২২ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৬ হাজার ৮৭৯ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৮৪৭ জন। আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৩১০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২১৬ এবং উপজেলায় ৯৪ জন। গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ১৮১ জন।   

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সঙ্গে বদলাচ্ছে তার পুরনো রূপ। আক্রান্তদের দেহে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন নানা উপসর্গ। বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে হঠাৎ বমির ভাব, ডায়রিয়া, আমাশয়, স্পাইরাল কর্ডের প্রচ  ব্যথাকেও করোনার লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর