মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

উপকূলে নিরাপদ পানির সংকট চরমে

পানি সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে তিন জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির প্রাপ্যতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বড় জলাধার খনন করা হলেও অধিকাংশ সময় সেই পানি পান করা যায় না। ফলে নিরাপদ পানির অভাবে এখানকার জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’ গতকাল খুলনায় পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট কুয়েটের আয়োজনে পানিবিষয়ক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, সংকট দূর করতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে পানি সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কোন স্থানে পানির উৎস কেমন এবং তা কতটা নিরাপদ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হবে। যাতে এসব তথ্যের ভিত্তিতে সহজে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়র সম্ভব হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কুয়েটের দুর্যোগব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক এস এম তারিকুল ইসলাম। দাকোপ কামারখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পঞ্চানন কুমার ম ল জানান, বছরের নয় মাস এখানে পানির সংকট থাকে। দুর্যোগের কারণে খাল-পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। চারপাশে লবণাক্ততার কারণে পুকুর-জলাধার খনন করা হলেও কিছু দিনের মধ্যে পানি দূষিত হয়ে যায়। সঠিক সংরক্ষণের অভাবে বৃষ্টির পানিও নষ্ট হয়ে যায়। এতে জীবন বাঁচাতে দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। কুয়েটের অধ্যাপক ড. সজল অধিকারী বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নেও সুফল মেলেনি। মিঠা পানির উৎস তৈরির জন্য পুকুর-জলাধার খনন করা হলেও নিচ থেকে লবণ পানি ঢুকে (লিচিং) দূষিত করছে। এ কারণে ব্যাপক গবেষণা করা প্রয়োজন রয়েছে। প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের আওতায় পানির প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব চিহ্নিতকরণ, উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ পানি গ্রহণের সামর্থ্য নিরূপন, পানির গুণগতমাণ বিশ্লেষণ, স্থানভিত্তিক ও মৌসুমভিত্তিক পানির প্রাপ্যতা নির্ণয় করা হবে। গবেষণার ফলাফল ডিজিটাল মানচিত্র মোবাইল অ্যাপসে প্রকাশ করা হবে। এতে নির্দিষ্ট অঞ্চলের পানি সুরক্ষা  সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর