মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারকে খুশি করতে এমেন্ডম্যান্ট আনা হয়নি : মৎস্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল- বিএনপি এমপির এহেন বক্তব্যের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সরকারকে খুশি করার জন্য এমেন্ডম্যান্ট আনা হয়নি। সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত করার জন্য আপিল আদালতে রায়টি হয়েছিল। এটা সরকারকে খুশি করার জন্য কোনো রায় নয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি এমপি হারুনুর রশীদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কথা তোলেন। সামরিক শাসনামলে জারি করা সমস্ত অধ্যাদেশ বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে সমস্ত রায় দেওয়া হয়, সমস্ত রায় কি আমরা কার্যকর করি, মানি? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে অবজারভেশন দেওয়া হয়েছিল, যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো কার্যকর করা হয়নি। সুতরাং রায় দেওয়া যায়... ২০১১ সালে সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই রায়টি প্রদান করা হয়েছিল। অর্থাৎ পঞ্চম এবং সপ্তম সংশোধনী বাতিল করলাম।

আজকে ওই সময়ের সমস্ত আইনকে অবৈধ করে দিলেন, তাহলে ওই সময়  যে সমস্ত আইন দ্বারা কার্যকর হয়েছে। আমি সামরিক আইনকে অবৈধ  ঘোষণা করলাম কিন্তু ওই সময়ের সমস্ত কর্মকান্ড অবৈধ ঘোষণা করল ওই সময় যে সমস্ত আইন দ্বারা কার্যকর সেগুলোর কী হবে?

জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের অবজারভেশনকে আমরা মানি নাই কেন? এরকম একটা কথা তিনি বলতে চেয়েছেন। অবজারভেশনটা কতটুকু ছিল? সংসদ চাইলে। তৎকালীন সময়ে সংসদ চাননি। অবজারভেশন কোনো ডিসিশন না, আর অবজারভেশনের অপশনটা পার্লামেন্টে দেওয়া হয়েছিল পার্লামেন্ট যেটাকে যথার্থ মনে করেছে, পার্লামেন্ট সে বিষয়টি করেছে। সরকারকে খুশি করার জন্য পঞ্চদশ এবং সপ্তদশ সংশোধনী হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধান। যেটাকে প্রায়ই আমরা রেফার করি। এই সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে শেষ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত কোথাও মার্শাল ল নামক কোনো আইন নাই এবং কেউ কাউকে অথরিটি দেয়নি। চাকরিতে থাকা অবস্থায় আমি এসে দাঁড়িয়ে বলব বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দেশবাসী আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। আমাদের সংবিধান কি বলছে, যদি রাষ্ট্রপতি না থাকেন উপ-রাষ্ট্রপতি আছেন, উপ-রাষ্ট্রপতি যদি না থাকেন স্পিকার রয়েছেন। কে সামরিক শাসকদের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের অথরিটি দিয়েছিল ক্ষমতা দখল করার? ইউনিফর্ম পরে আমি প্রার্থী আমাকে ভোট দেবেন না, দেবেন না, হ্যাঁ বা না ভোট। কোন কোন জায়গায় নাকি ১০১ শতাংশ ভোট দেওয়া হয়েছিল। এই জাতীয় ত্রুটি নিয়ে যারা আসছেন তাদের লিগ্যাল কোনো স্ট্যান্ড না থাকার কারণেই সর্বোচ্চ আদালত সেই রায় দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর