বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে

--- সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন,  তরুণরা  নালিশ করে না। তারা মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সমস্যা সমাধান করে। এ শক্তিই ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে। আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। গত রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা এখন ভার্চুয়ালি রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে এখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়ত। সরকারের যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজকল্যাণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ নীতিমালা মাথায় রেখে কাজ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশের মানুষের জীবনের যেন উন্নয়ন হয়, তারা যেন সুখী থাকে, ভালো থাকে এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। এ স্বপ্নগুলো আপনারা মাথায় রাখবেন। আমরা যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি বলেন, কয়েকটি নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। যেমন গণতন্ত্র। দেশ চলবে মানুষের অধিকারের ওপর। মানুষের ভোটের ওপর। দেশের মানুষ নিশ্চিত করবে দেশের নেতৃত্ব কে দেবে, দেশ কোন দিকে যাবে। সমাজকল্যাণ শুধু একশ্রেণির মানুষকে নয়, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভালো রাখতে হবে। আর অসাম্প্রদায়িকতা। এ তিনটি মৌলনীতি নিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। এগুলো নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। এগুলো ছেড়ে দিলে কিন্তু আমরা এগোতে পারব না।

জয় বলেন, আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশে সমস্যা থাকবেই। ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অনুষ্ঠান আমাদের ভার্চুয়ালি করতে হচ্ছে। কিন্তু কেন? কারণ কভিড-১৯। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার, আমরা কিন্তু শুরু থেকেই মেধা দিয়ে পরিশ্রম দিয়ে এর মোকাবিলা করে গেছি। এটা কী ক্ষতি করবে, কী হবে তা ভেবে আমরা কিন্তু বসে থাকিনি। আজ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ বলেন, সেখানে কিন্তু লাখো লাখো মানুষ আক্রান্ত।

পুরস্কার পাওয়া ১৬ সংগঠনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা আমাদের অনুপ্রেরণা। কারণ আমরা দেখতে চাই কারা সমস্যার সমাধান করতে চায়। যারা শুধু নালিশ করতে যায় না। যারা শুধু নালিশ করে, নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে যায়। আমি চাই যোগ্য নেতৃত্ব। আর তা শুধু সরকারি পর্যায়ে নয়। এই যে ১৬ জন ১৬টি প্রতিষ্ঠান দেখেন তারা কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তারা কিন্তু তাদের সমাজ, গ্রাম ও শহরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কিন্তু ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেয়নি। ক্ষমতা ছাড়াই তারা পাশের মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি এটাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা। আপনারা অন্যদের দিকে হাত পেতে রাখবেন না। শুধু সাদা চুলওয়ালা প্রবীণদের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। দেশের সমস্যা সমাধান করতে নেমে যান। আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

কভিড-১৯-এর মধ্যে ভার্চুয়ালি এ সভা আয়োজনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জয় বলেন, আমি সেই মার্চ থেকে দেশে আসতে পারছি না। কারণ এখানে কভিডের ভয়ংকর পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো কিছু থেমে নেই। সরকার ভার্চুয়ালি সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছে বাংলাদেশে এটা সম্ভব? কেউ পারেনি। আমি গর্বিত যে ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই লাভ ও ফল। আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকত কভিড-১৯-এ কিন্তু অর্থনীতি শেষ হয়ে যেত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আমরা এটার (ডিজিটাল বাংলাদেশ) পরিকল্পনা করি, ১০ বছর ধরে বাস্তবায়ন করেছি। এটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছে। অনেকে টিটকারি করেছে। কিন্তু এটার লাভ আজকে পাচ্ছি। এ বছরে পাচ্ছি এবং এটা আমরা বাঙালিরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করেছি। এটা কোনো বিদেশি কোম্পানি বা বিশ্বব্যাংক এসে করে দেয়নি। এটার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারায় করা। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকব। এর আগে বক্তব্যের শুরুতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

সর্বশেষ খবর