বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে বিপন্ন বন্যহাতি

দুই বছরে মারা গেছে ১৩টি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে বিপন্ন বন্যহাতি

কক্সবাজারে মানুষের নির্মমতায় মারা যাচ্ছে একের পর এক এশিয়ান বন্যহাতি। চলতি মাসে রামু ও চকরিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তিন বন্যহাতি। গত দুই বছরে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বন্যহাতির। বিভিন্ন সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে হাতির আবাসস্থল উজাড় এবং চলাচলের করিডোর বন্ধ করায় খাদ্য সংকটে পড়ে এসব হাতি। এ অবস্থায় লোকালয়ে হানা দিতে থাকে বন্যহাতি। এনিয়ে হাতি ও মানুষের মধ্যে চরম বৈরিতার সৃষ্ট হয়। ফলে মানুষ ফসল রক্ষায় বিদ্যুৎ শক ও বিষ ব্যবহার ছাড়াও গুলি করে হাতি হত্যা শুরু করে। রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শাহজাদা মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, চলতি মাসে তিনটি বন্যহাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতিটি হাতিকে চার থেকে আটটি পর্যন্ত গুলি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ শকের চিহ্নও মিলেছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর ভাষ্য, টেকনাফ, উখিয়া, রামু ও চকরিয়া বনাঞ্চলে হাতির আবাসস্থল, খাদ্য ও চলাচলের করিডোর বা পথ ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে উখিয়া ও টেকনাফের এসব বনাঞ্চল উজাড় করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ৩২টির রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এসব রোহিঙ্গা জ¦ালানি কাঠের জন্য পার্শ্ববর্তী বনায়ন ধ্বংস করে ফেলে। এতে হাতির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে হাতি তাদের আবাসস্থল, খাদ্য সংকট ও চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় লোকালয়ে চলে আসছে। এতে মানুষ তাদের পাহাড়ি আস্তানা, ধান, সবজি ও ঘরবাড়ি রক্ষার্থে নির্মমভাবে হাতিগুলোকে হত্যা করছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, এখন থেকে বনাঞ্চলে কোনো ধরনের স্থাপনা কিংবা দখল করতে মানুষজনকে যেতে দেওয়া হবে না। এটি নজরদারি করা হবে। যারা বনাঞ্চলে স্থাপনা কিংবা দখল করতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা এসব হাতিকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর