বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন গভীর থেকে গভীর সংকটে। সেই সংকট উত্তরণে আমাদের অবশ্যই মওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে। তার দেওয়া দর্শন নিয়ে সামনে এগোতে হবে। গতকাল বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে এবং দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর পরিচালনায় সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি, কাজ করি, যারা আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, তাদের কাছে মওলানা ভাসানী সত্যিকার অর্থে একজন দেবতার মতো মনে হয়। মানুষের কী জন্যে মুক্তি দরকার, স্বাধীনতা দরকার, সার্বভৌমত্ব দরকার সেটা তিনিই আমাদের দেখিয়ে গেছেন। মওলানা ভাসানী সমাজকে বদলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। সে জন্য যারা সমাজের বিত্তশালী, যারা সমাজে প্রভাবশালী, যারা বিত্তের পাহাড় গড়ে তোলে, তারা কখনোই মওলানাকে ভালো চোখে দেখেননি। সে কারণে সাম্রাজ্যবাদের যারা পূজারি, তারা তাকে বলতেন ভায়োলেন্স। আর যারা আধিপত্যবাদের পক্ষে কথা বলেন, তারা তাকে বলেছেন তিনি একেবারেই একজন মৌলবাদী মানুষ। তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানী ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানের ঔপনিবেশবাদ ও তার শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং বাংলাদেশকে যারা নিজস্ব সম্পত্তি বানাতে চেয়েছিল, বাংলাদেশকে যারা নিজস্ব প্রপার্টি বানাতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের সবকিছুকে যারা নিজেদের বলে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধেও তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনি ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।