সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর (এপ্রিল-জুন) স্বাস্থ্যসেবায় চরম বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দুর্বিষহ পরিবেশে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠে ৯টি আইসোলেশন সেন্টার। পরে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে প্রকোপ তুলনামূলক কমে আসে। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় বেসরকারি আইসোলেশন সেন্টারগুলো। এখন করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ দোরগোড়ায়। কিন্তু সরকারি সেবা অপ্রতুল এবং বেসরকারি কেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ায় পূর্বের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সঙ্গে  আছে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র সংকট। আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে ৬টি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র। জানা যায়, করোনা মোকাবিলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২৬০টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১৫০টি এবং বিআইটিআইডি হাসপাতালে আছে ৬০টি শয্যা প্রস্তুত আছে। কিন্তু এক কোটির বেশি জনগণের জন্য ৪৭০টি শয্যা অপ্রতুল বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পক্ষান্তরে, বন্ধ হয়ে যায় সরকারি-সেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়া নয়টি আইসোলেশন সেন্টার।

 চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘সরকারিভাবে  প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া আছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। অতীতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তা ছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন ধরে চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত শুক্রবার আক্রান্ত হয় ১৪৫ জন, গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয় ১৯৭ জন, বুধবার ১৬১ জন, মঙ্গলবার ১৭৮ জন ও গত সোমবার ১৫৭ জন। চট্টগ্রামে বর্তমানে মোট আক্রান্ত হয় ২৩ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৭ হাজার ৫৬১ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৯৭৭ জন। ইতিমধ্যে করোনায় মারা যান ৩১৩ জন, এর মধ্যে মহানগরে ২১৯ জন ও উপজেলায় ৯৪।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর