সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শীতের শুরুতে মশার উপদ্রব খুলনায়

ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় দিনে-রাতে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। ঘরোয়াভাবে মশা তাড়ানোর কোনো ফর্মুলাই কাজে আসছে না। নাগরিক নেতারা বলছেন, নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার অভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেনে ও খালে পানি জমে থাকছে, ঝোপ-ঝাড়ও সঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে না। এসব কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, অসচেতনার কারণে অনেকে ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় তা বন্ধ হয়ে থাকে। আবদ্ধ পানিতে প্রজনন মৌসুমে মশাও বেশি জন্মাচ্ছে। এ অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও মশার আবাসস্থল ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, দিনের বেলায় ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়। মশার উৎপাত এত বেশি যে, দরজা-জানালা খুলে রাখার উপায় নেই। সিটি করপোরেশন থেকে মাঝে মধ্যে মশার ওষুধ ছিটানো হয়, কিন্তু তাতেও মশা মরে না। নগরীর শেখপাড়া, নবপল্লী, নবীনগর, নিরালা আবাসিক এলাকা, মৌলভীপাড়া, রায়পাড়া, মিস্ত্রিপাড়া ও হরিণটানা এলাকার বাসিন্দারা একই কথা বলেছেন। তারা বলেন, দিন কিংবা রাত কখনই মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। অ্যারোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট, কয়েলে কাজ হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যায় না। সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে বলে একটু মশা বাড়ছে। তবে মশা নিধনের জন্য লারবি সাইড, এডালটি সাইড আর লাইট ডিজেল অয়েল বা কালো তেল দেওয়া হচ্ছে।

‘ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় ওষুধ ছিটানোর কাজে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে চলমান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় গত ১৫ নভেম্বর কনজারভেন্সি বিভাগের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি নগরীতে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। এ সময় নগরবাসীর সচেতনতা, বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর