আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোয় বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত। গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে পৌঁছালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ভারতীয় হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী গতকাল বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)-এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। বৈঠককালে মেয়র আতিক হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে নগর পরিকল্পনা ও নাগরিক সেবা প্রদানে একে অন্যের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। এতে উভয় দেশের শহরগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে।বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ঢাকা শহরে ডেইলি ইনটিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইনটেলিজেন্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, ইনটেলিজেন্ট লাইটিং সিস্টেম, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর পার্কের উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠককালে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।