স্ক্র্যাপ ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ২০ কনটেইনার কংক্রিটের ব্লক। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা এসব কনটেইনারে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ থাকার ঘোষণা থাকলেও পাওয়া গেছে ১১৫ টন কংক্রিট ব্লক। এতে বিদেশে টাকা পাচারের প্রচেষ্টা বা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ ওই চালানের ২০টি কনটেইনার আটক করেছে। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চালানটি আমদানি করেছে কুমিল্লা ময়নামতি বাজারের সিন্দুরিয়া পাড়ার ঠিকানায় সাকুরা স্টিল লিমিটেড। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখায় একটি আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়।
এলসিতে পণ্যের মূল্য ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজ যোগে স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০টি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে কনটেইনারগুলো সিসিটিসিএল ডিপোতে (বেসরকারি অফডক) পাঠানো হয়। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দেখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর টিম কনটেইনারগুলো পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। কনটেইনারগুলোর পরীক্ষায় দেখা যায় স্ক্র্যাপের পরিবর্তে ১১৫ টন কংক্রিট ব্লক। বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট।
