বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মোহাম্মদপুরে ভয়াবহ আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোহাম্মদপুরে ভয়াবহ আগুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় গতকাল আগুনে পুড়ে গেছে ৪০টি টিনশেড ঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট গিয়ে পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে মহল্লার ৪০টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে মহল্লাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে জহুরী মহল্লায় কৃষি মার্কেটের পেছনের অংশে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। মহল্লার বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বেশ কয়েকটি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে। আগুন আতঙ্কে অনেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। স্থানীয়রা জানান, জহুরী মহল্লা বস্তি নামেও পরিচিত। স্থানীয়ভাবে বস্তিটি ‘৪০ এর বস্তি’ হিসেবে পরিচিত। বস্তিতে দেড় শতাধিক ঘর রয়েছে। সবগুলো ঘর টিনশেডের। বড় বড় ঘরও রয়েছে। বড় ঘরগুলোর মধ্যে আবার খোপ খোপ অর্থাৎ একটি বড় ঘরের মধ্যে কয়েকটি ছোট ছোট ঘর আছে। মহল্লার বাসিন্দারা দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিক। কেউ রিকশাচালক, দিনমজুর কিংবা স্বল্প আয়ের ব্যবসায়ী। আগুনে যাদের ঘরগুলো পুড়েছে, তারা নিতান্তই গরিব। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডিএনডি আবুল বাশার জানান, জহুরী মহল্লায় ১০০-১৫০টি ঘর হবে। আগুনে ২৫টি বড় ঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে।

আর বড় ঘরের মধ্যে থাকা ছোট ঘরগুলো ধরলে মোট ৪০টি ঘর পুড়েছে। তার প্রাথমিক ধারণা মতে, গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত মহল্লাবাসীর কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগেনি, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা, কেন-ই বা আগুন লাগিয়েছে তাদের সেই সন্দেহের কারণ জানাতে তারা রাজি হননি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, ওই মহল্লায় অবৈধ গ্যাস লাইন রয়েছে। যে যেভাবে পারছে তা ব্যবহার করছে। এলোমেলোভাবে গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে। তারগুলোও এলোমেলোভাবে টানা হয়েছে। গ্যাসের চুলা বা বৈদ্যুতিক হিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, আগুনে যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। যারা আগুনে ঘর ও সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন, তাদের জন্য রাতে থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর