শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সিলেটে দেড় বছর ধরে ঝুলে আছে যুবলীগের কমিটি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত বছর সম্মেলন হয়েছিল সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের। এতে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু সম্মেলনের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি কমিটি। ফলে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। তবে দায়িত্বশীলরা বলছেন, কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে গেছে, এখন সিলেটেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে। যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ২৭ বছর পর গত বছর সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে  ২০০৩ সালে জেলা যুবলীগের এবং ২০০৪ সালে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হলেও কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয় গত বছরের ২৯ জুলাই। সম্মেলনে সভাপতি পদে শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শামীম আহমদ (সীমান্তিক শামীম) নির্বাচিত হন। ওই বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। এতে সভাপদি পদে আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুশফিক জায়গীরদার নির্বাচিত হন। সম্মেলনের পর পেরিয়েছে প্রায় দেড় বছর। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি। ফলে পদপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে না। দায়িত্বশীলরা বলছেন, এতদিন কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সিলেটে যুবলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা যায়নি।

এখন কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ায় সিলেট জেলা ও মহানগর শাখায়ও ‘শিগগিরই’ আসবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অপেক্ষা আর বেশি দীর্ঘায়িত হবে না। সহসাই পূর্ণাঙ্গ হবে কমিটি।

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বলেন, কেন্দ্রে এতদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় আমাদের শাখা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা যায়নি। এবার কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ায় শিগগিরই আমাদের শাখা কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আশা করছি আমরা। খসড়া কমিটিও প্রস্তুত আছে।

সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন ত্যাগী, পরীক্ষিত, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতারাই কমিটিতে স্থান পাবেন। কোনো মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, অপরাধী, অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ব্যক্তি কমিটিতে স্থান পাবে না। আমরা সুন্দর ও বিতর্কমুক্ত কমিটি করার চেষ্টা করব।

সর্বশেষ খবর