সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চার দশক পূর্তি উদযাপন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চার দশক পূর্তি উদযাপন

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে চার দশক পার করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। নাটকের মাধ্যমে করেছে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কথা বলেছে মানবতা ও স্বাধীনতার পক্ষে। আন্দোলন করেছে স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। চার দশক উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। নাট্যজন লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাট্যজন আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, ম. হামিদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, দেব প্রসাদ দুলাল দেবনাথ, ঝুনা চৌধুরী, কামাল বায়েজিদ, আক্তারুজ্জামান ও শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন নাট্যাভিনেতা খন্দকার শাহ আলম। সব শেষে ছিল বিভিন্ন দলের নাটকের কোলাজ প্রদর্শনী, বাউল গান ও দলীয় নৃত্য। চার দশক পূর্তির এই আয়োজনে ফেডারেশনের সম্মাননায় ভূষিত হন- সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সারা যাকের ও ম. হামিদ। আর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে সম্মাননায় ভূষিত হন- এস এম সোলায়মান (মরণোত্তর), ঝুনা চৌধুরী ও আক্তারুজ্জামান।

মামুনুর রশীদ বলেন, শুরু থেকে আমি ফেডারেশনের বিরোধিতা করেছিলাম। আজকে বুঝতে পারছি আমার সেই বিরোধিতা অমূলক নয়। কারণ সাংগঠনিকতা বাড়াতে সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে। যার কারণে নাটকের মানও এখন নিম্নমুখী। ঢাকার বাইরের নাটকের অবস্থা যাচ্ছেতাই। ঢাকার নাটকের উৎকর্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাইরের নাটকের উৎকর্ষতা যদি বৃদ্ধি না পায় তাহলে আমি মনে করি নাটকের সামগ্রিক মান এখনো অনুন্নত। অন্যদিকে শিল্পকলার মিলনায়তনগুলো এখনো নাটক মঞ্চায়নের উপযোগী হয়নি। হলের লাইট এবং সাউন্ডের মান খুবই খারাপ। এ বিষয়ে ফেডারেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, নাট্যকর্মীদের স্যালারি গ্র্যান্ড চালু করার ব্যাপারে আমরা বারবার সরকারের কাছে ধরনা দিলেও অজ্ঞাত কারণে সেটির বাস্তবায়ন হচ্ছে না। একজন ক্রিকেটার বছরে যে টাকা পায় তা দিয়ে প্রায় এক হাজার নাট্যকর্মীকে স্যালারি গ্র্যান্ড দেওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর