কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষিত হবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। যাতে কেন্দ্রীয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারকে একক ক্ষমতা দিয়ে আহ্বায়ক করা হচ্ছে। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে অন্তর্কোন্দল। এরই মধ্যে নতুন আহ্বায়ক কমিটি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির অপর অংশ। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম বলেন, ‘উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই কমিটি ঘোষণা করা হবে।’ উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমরা চাই সবার মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হোক। যাতে সব গ্রুপের অংশ গ্রহণ থাকবে।’ জানা যায়, দীর্ঘ ছয় বছর পর বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে দলের হাইকমান্ড। যাতে গোলাম আকবর খোন্দকারকে আহ্বায়ক করে ৪৫ সদস্যের নামও প্রায় চূড়ান্ত। এরই মধ্যে সবুজ সংকেত মিলেছে লন্ডন থেকে। সব ঠিক থাকলে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ফের চাঙা হয়েছে উত্তর জেলা বিএনপির অন্তর্কোলন। এরই মধ্যে বিদ্যমান কয়েকটি গ্রুপ এক হয়ে নতুন কমিটিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। আজ যৌথ সভা ডেকেছে বিবদমান গ্রুপগুলো। যাতে কারাবন্দী বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রুপ, গিয়াস কাদের গ্রুপ, সাকা (হুম্মাম কাদের) গ্রুপ ও শাকিল ফারজানা গ্রুপের নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে আহ্বায়ক কমিটি প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা না দেওয়ার জন্য বিবৃতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল আসলাম চৌধুরী আহ্বায়ক ও কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এরপর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই নেতা। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার হন আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মারা যান সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান। এরপর থেকে কার্যত নেতাশূন্য উত্তর জেলা বিএনপি।