বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে মুজিব শতবর্ষে মঞ্চস্থ হলো ‘বাতিঘর’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে মুজিব শতবর্ষে মঞ্চস্থ হলো ‘বাতিঘর’

রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক ‘বাতিঘর’। তিন দিনব্যাপী ‘মুজিব শতবর্ষ নাট্যোৎসব’-এর প্রথম দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে রচিত এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে একটি নৃত্যালেখ্যর মাধ্যমে উৎসব উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেন নৃত্যশিল্পী ল্যাডলি মোহন মৈত্র ও আলো মৈত্র। প্রদীপ প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। এ সময় তিনি বলেন, নাটক সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। কবিতা যদিও সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম, কিন্তু এর মাধ্যমে শুধু উচ্চ শিক্ষিত মানুষকে জাগানো সম্ভব। তবে নাটকের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন করা যায়। এ জন্য নাটক হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসব নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ‘বাতিঘর’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আনোয়ারুল ইসলাম। অভিনয়ে অংশ নেন গোলাম মোর্শেদ, মনোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান, মোকসেদ আলী, মতিউর রহমান, খালেদা আক্তার, মাহমুদ হাসান, সবুজ আযম, আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সাজু আহমেদ, জান্নাতুল রাব্বি, কাজল আক্তার ও কবিতা।  নাটকের পটভূমি রচিত হয়েছে একটি থিয়েটারের কাহিনি নিয়ে।

থিয়েটারে কী নাটক করা হবে এ নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়।

 মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না এ রকম একজন তরুণী এসে বলেন, বারবার একই মুক্তিযুদ্ধ, একই রাজাকার নিয়ে কেন নাটক হবে। নতুন কোনো কাহিনি নিয়ে হোক। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধা কথা বলতে বলতে তাদের চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দেন। ফ্ল্যাশ ব্যাকে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। উঠে আসে একাত্তরে রাজাকারদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাটের চিত্র। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে। শেষে সবার ভুল ভেঙে যায়। সিদ্ধান্ত হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই নাটক হবে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন বুধবার মঞ্চস্থ হয়েছে কামারুল্লাহ্ সরকার ও নিতাই কুমার সরকার রচিত রাজশাহী থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘পথিকৃৎ’। নাটকটির নির্দেশনাও দিয়েছেন কামারুল্লাহ সরকার। তৃতীয় দিন পরিবেশিত হবে বিমল বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ও মামুন উর রশিদ নির্দেশিত রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘ প্রযোজিত নাটক ‘একটি অবাস্তব গল্প’।

করোনাকালে সীমিত দর্শকের উপস্থিতিতে রাজশাহীতে উৎসবটি উদযাপিত হচ্ছে। কোনো দর্শনী ছাড়াই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে উৎসবটি। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টায় উৎসব শুরু হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর