শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বামীর ৭ বছর কারাদন্ড, ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামী মো. ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে সাত বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন গতকাল বিকালে আসামির অনুপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই গৃহবধূকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দন্ডপ্রাপ্ত ফরিদউদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করবেন। নতুবা পিডিআর আইনে আসামির সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ওই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় এটি। দন্ডপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন মল্লিক জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের তারাবাড়ী এলাকার মৃত জয়নাল মল্লিকের ছেলে। শ^শুর-শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান ফরিদ উদ্দিন। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে পতিতালয়ের মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে যান।

এর ১৫-২০ দিন পর ফরিদ উদ্দিন ফের ওই পতিতালয়ে গিয়ে অবস্থান করতে থাকেন। ফারজানার কাছ থেকে নিয়মিত অর্থও আদায় করতেন ফরিদ। কিছুদিন পর মিন্টু সর্দার ফারজানাকে ওই পতিতালয়ের আরেক সর্দারনি হোসনেয়ারার কাছে বিক্রি করে দেন। একপর্যায়ে ফারজানাকে নিয়ে মিন্টু সর্দার ও হোসনেয়ারার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। প্রায় দুই মাস পর ১০ ডিসেম্বর খবর পেয়ে ফারজানার বাবা ও শ^শুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই পতিতালয়ে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশ সর্দার মিন্টু ও সর্দারনি হোসনেয়ারাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ফারজানার বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্বামী ফরিদউদ্দিন এবং পতিতালয়ের দুই সর্দার ও সর্দারনী মিন্টু ও হোসনেয়ারাকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর