বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর হানা খুলনায়

এক সপ্তাহে ১০ রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের মধ্যেই খুলনা অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে আলাদা ইউনিট করে আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মো. জাকির হোসেন (৫০) নামের একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর এলাকায়। ২৬ নভেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও ডেঙ্গুবিষয়ক মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, ‘আক্রান্তদের বেশির ভাগই খুলনা অঞ্চলের বাসিন্দা। খুলনায় একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ও ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনো ডেঙ্গু চিকিৎসায় আলাদা ইউনিট চালু করা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে প্রয়োজনে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ এদিকে শীত মৌসুমের শুরু থেকেই খুলনা মহানগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিন-রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন মশক নিধনে ওষুধ ছিটানো, সচেতনতামূলক মাইকিং, বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখা, ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।  এছাড়া কেসিসির কনজারভেন্সি শাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার ও পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক সংগঠনের নেতারা বলেন, বদ্ধ পানিতে মশার প্রজনন বাড়তে থাকে। নিয়মিত ড্রেন বাড়ির আঙিনা, ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও মশার প্রজনন স্থানসমূহ চিহ্নিত করে ওষুধ ছিটাতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর