কোনো দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ভাস্কর্য বিতর্কের সুষ্ঠু সমাধান চায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একাংশ। একই সঙ্গে আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ করে হেয় প্রতিপন্ন ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এই অংশের আহ্বায়ক এ পি এম সুহেল।
তিনি উত্তেজনাবশত বা কারও উস্কানিতে দেশের বিদ্যমান ভাস্কর্যগুলোর কোনো ধরনের ক্ষতি না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া দেশ ও জাতির শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের ধর্মীয় উস্কানিমূলক কর্মকান্ড পরিহার এবং ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়, এমন কোনো কর্মকান্ড না করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুহেল বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ভাস্কর্য বিতর্কের অবসান হোক। কুষ্টিয়ায় রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর নিন্দনীয় কাজ। এর আগেও ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্যসচিব ইসমাঈল সম্রাট, উপদেষ্টা মোহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে গত ১৫ অক্টোবর নতুন আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় সংগঠনটির একাংশ।
